বিবিধ

বাংলা থ্রিলারের হালচাল

বাংলাদেশে থ্রিলার সাহিত্য এখন নতুন আলোয় উজ্জ্বল। মৌলিক থ্রিলার লিখতে শুরু করেছেন অনেকে। তাঁদের কারও কারও জনপ্রিয়তা পেরিয়েছে দেশের গণ্ডি। ভারতীয় সংস্করণ হিসেবে কলকাতা থেকেও হরদম বেরোচ্ছে আমাদের দেশের থ্রিলার লেখকদের বই। ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও তাঁদের জয়জয়কার

মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

ফেলুদা-ব্যোমকেশ-শবরের মতো জনপ্রিয় কোনো গোয়েন্দা চরিত্র আমাদের দেশে নেই কেন?

কয়েক দিন আগে একজন কবি ও সাংবাদিকের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে ছোট্ট করে যে জবাবটা দিয়েছিলাম, সেখান থেকেই এই লেখা লিখতে প্ররোচিত হয়েছি। মিনিটখানেকের ফোনালাপে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ ছিল না, পরে যখন এটা নিয়ে ভাবলাম, প্রথমেই এই প্রশ্ন উদয় হলো, গোয়েন্দা চরিত্র তো ‘জনরা-সাহিত্য’র বিষয়, এ দেশে এ ধারার সত্যিকারের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল কবে?

ধান ভানার আগে শিবের গীতটা না গাইলেই নয়।

সাহিত্যের খোঁজখবর যাঁরা রাখেন তাঁরা জানেন, ষাটের দশকের শেষের দিকে সেবা প্রকাশনীর একক প্রচেষ্টায় এ ধরনের সাহিত্যের সঙ্গে আমরা পরিচিত হতে শুরু করি। তার আগে এই ধারার সাহিত্য বলতে আমাদের অভিজ্ঞতায় ছিল মূলত ইউরোপ-আমেরিকার ইংরেজি ভাষার রহস্য গল্প-উপন্যাস আর কলকাতার কিছু গোয়েন্দা গল্প। কেউ কেউ হয়তো হলিউডের সিনেমাগুলোর কথাও বলবেন। তাঁদের জ্ঞাতার্থে বলে রাখা দরকার, এই আলাপ কেবল সাহিত্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে।

আগেই বলেছি, আমাদের এখানে এ ধারার সাহিত্যের সূচনা ষাটের দশকে। কিন্তু নির্মোহভাবে বলতে গেলে স্বীকার করতেই হবে, সূচনাপর্ব মৌলিক লেখা দিয়ে হলেও তার পরপরই এটা হয়ে ওঠে মূলত বিদেশি গল্পের অ্যাডাপটেশন বা রূপান্তরকরণের ভারে আক্রান্ত। অবশ্য শুরুতে অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল, লেখকের সংকট ছিল। কিন্তু বিপুল পাঠক থাকায় দ্রুতই এই ধারার গল্প-উপন্যাস জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। প্রকাশনার সংখ্যাধিক্যও ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে সেই প্রারম্ভে ছিল না কেবল মৌলিকত্বের আধিপত্য—এমনটা বললে অত্যুক্তি করা হবে না। যে কারণে কাজী আনোয়ার হোসেন-শেখ আবদুল হাকিমদের মতো যশস্বী লেখক থাকা সত্ত্বেও এই ধারা কেবল পাঠকের সর্বগ্রাসী ক্ষুধা মেটাতেই সফল হয়েছে, মৌলিকত্বের জীর্ণ দেহে পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান দিতে পারেনি। তিন-চার যুগের দীর্ঘ সময়েও কেন সেটা হয়নি, তার ব্যাখ্যা কাজীদা নামে খ্যাত মাসুদ রানার স্রষ্টা প্রায় এক যুগের বেশি আগে প্রথম আলোর সঙ্গে আসজাদুল কিবরিয়ার নেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে অকপটে বলেও ছিলেন, ‘বাংলাদেশে মৌলিক রহস্যসাহিত্যের বিকাশ না হওয়ার প্রধান কারণ, আমি বলব, আমাদের অভিজ্ঞতার অভাব; বিশেষ করে স্পাই থ্রিলারের ক্ষেত্রে।’ তবে ব্যর্থতার এই দায় এককভাবে তাঁর কিংবা তাঁর প্রকাশনীর ওপরে বর্তায় না। সংগত কারণেই প্রশ্ন ওঠে, বাকিরা তবে কী করেছেন?

ঠোঁটকাটা মানুষের মতো করে বললে বলতে হয়, তাঁদের বেশির ভাগই এ ধারার সাহিত্যকে শুরু থেকেই বাঁকা চোখে দেখেছেন, হেয় করেছেন। এটা ‘সাহিত্য কি সাহিত্য না?’—এমন বিতর্কে ব্যস্ত রেখেছেন নিজেদের। ফলে এই ধারা শুরু থেকেই ‘মূলধারা’র সাহিত্য হিসেবে স্বীকৃতি না পেয়ে সাহিত্যিক পরিকাঠামো থেকে খানিকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে সেবা প্রকাশনী এবং তাঁর লেখকেরা যেন সম্মিলিতভাবে বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপে নিজেদের ছোট্ট জগতে দীর্ঘকাল ধরে নিবিষ্ট মনে কাজ করে যাওয়া রবিনসন ক্রুসো।

আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগে আমি যখন এই সাহিত্যধারা নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই, সে সময়ই টের পাই কথিত ‘মূলধারা’র লেখক-প্রকাশকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ কতটা তুচ্ছতাচ্ছিল্য মনোভাব পোষণ করতেন থ্রিলার সাহিত্য নিয়ে। এমন নয় যে সেই দৃশ্যপট পাল্টে গেছে পুরোপুরি। এখনো অনেকে সে রকম দৃষ্টিভঙ্গি লালন করেন—প্রকাশ্যে না হলেও আড়ালে-আবডালে।

তবে চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, ইদানীং থ্রিলার-জনরার জনপ্রিয়তা দেখে তাঁদের অনেকেই থ্রিলার সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। এক দিক থেকে এটা আশাব্যঞ্জক ঘটনা, কিন্তু তাঁদের অনেকের কাছে যেহেতু থ্রিলার সাহিত্যের জনপ্রিয়তাই একমাত্র আকর্ষণ, এর অবমানের আশঙ্কা তাই থেকেই যায়।

আমার বিবেচনায়, সেবা প্রকাশনীর পর দেশে নবোদ্যমে, নিরবচ্ছিন্নভাবে থ্রিলার সাহিত্যের যাত্রা শুরু হয় ২০১০-এ। সেদিক থেকে দেখলে এর বয়স এখন দশকের ঘর পেরিয়েছে মাত্র। তাই বাংলায় মৌলিক থ্রিলার নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক আলাপ-আলোচনা করতে হলে খানিকটা সময় পরেই করা উচিত।

উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞান কল্পকাহিনি সাহিত্যধারার কথা বলা যেতে পারে। এ ধারায় দীর্ঘকাল ধরে অনেকেই লিখছেন, কিন্তু এখানে আত্মোৎসর্গীকৃত লেখক কজন আছেন? কালেভদ্রে লেখেন, মাঝেমধ্যে টুকটাক লেখেন—এমন লেখক দিয়ে কোনো সাহিত্যধারা নিজস্ব পরিচয় নিয়ে শক্ত অবস্থানে দাঁড়াতে পারে না। এটা অবশ্য শিল্পসাহিত্যের যেকোনো শাখার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এ জন্য প্রচুর পাঠক থাকা সত্ত্বেও মুহম্মদ জাফর ইকবালের মতো মাত্র একজন নিবেদিতপ্রাণ লেখকের ওপর ভর করে সাহিত্যের এই ধারা স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি; এ দেশে বিজ্ঞান কল্পকাহিনির এধারাটি একজন লেখকের একচেটিয়া রাজত্বের চেয়ে বেশি কিছু হয়ে উঠতে পারেনি এখনো।

আশার কথা, বাংলাদেশে মৌলিক থ্রিলারের বেলায় তেমনটি ঘটেনি। কাজী আনোয়ার হোসেন, শেখ আবদুল হাকিমরা যখন তরুণ ছিলেন, তখন গত শতকের সেই ষাটের দশকে তাঁদের হাতে থ্রিলার সাহিত্যের গোড়াপত্তন ও বিকাশ ঘটেছিল। অনেক পরে এই শতকের দ্বিতীয় দশকে (২০১০) যখন আবার নতুনভাবে থ্রিলার সাহিত্যের সূচনা ঘটল, শুরু থেকেই একঝাঁক তরুণ লেখকের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ এর ব্যাপ্তি বাড়িয়েছে। পাঠকও আগ্রহী হয়েছেন বিপুল মাত্রায়। ফলে ধারণার চেয়েও কম সময়ের মধ্যে পাঠকসমাজে এ ধারা একটি জায়গা করে নিতে পেরেছে বলে মনে করি। বাংলাদেশের অনেক পাঠকই এখন একে ‘থ্রিলার-বিপ্লব’ আখ্যা দিয়ে থাকেন। তাঁদের কথার মধ্যে অতিশয়োক্তি কিছুটা থাকলেও সত্যও আছে বড় অংশে। আর এর ঢেউ পার্শ্ববর্তী বাংলাভাষী অঞ্চল কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গেও আছড়ে পড়েছে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে মাত্র চার বছরেই বাংলাদেশের থ্রিলার লেখকদের কমপক্ষে এক শ বই কলকাতা থেকে ভারতীয় সংস্করণ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে কিছু বই বিপুল পাঠকপ্রিয়তাও পেয়েছে।

আবার নতুন মাধ্যম ওটিটি প্ল্যাটফর্মও আগ্রহী হয়ে উঠতে শুরু করেছে এ দেশের থ্রিলার সাহিত্য অবলম্বনে সিরিজ বা সিনেমা বানানোর বিষয়ে। এখন পর্যন্ত আমার দুটো উপন্যাস নিয়ে ওয়েব সিরিজ নির্মিত হয়েছে, শিবব্রত বর্মনেরও একাধিক গল্প-উপন্যাস নিয়ে কাজ হয়েছে সম্প্রতি। জানামতে, আরও অনেক লেখকের গল্প-উপন্যাস নিয়ে কাজ হওয়ার কথা চলছে।

এ তো গেল থ্রিলার সাহিত্যের বর্তমান হালচালের খবর। এবার শিবের গীত গাওয়া শেষে ফিরে যাই ধান ভানতে গিয়ে যে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলাম সেই প্রসঙ্গে: ফেলুদা-ব্যোমকেশ-শবরের মতো জনপ্রিয় কোনো গোয়েন্দা চরিত্র আমাদের এখানে নেই কেন?

আমাকে যে সাংবাদিক এ প্রশ্ন করেছিলেন, তৎক্ষণাৎ তাঁকে আমার নিজের লেখা কমপক্ষে দুটো জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্রের কথা বললাম। কিন্তু তখন আমাকে তিনি ‘দুধভাত’-এর কাতারে ফেলে দিলেন!

‘আপনারটা বাদ দিয়ে বলেন, ভাই।’

থ্রিলার বিষয়ে লেখার সময় তাই নিজেকে যতটুকু সম্ভব ঊহ্য থেকেও ঊহ্যতর রাখতে হচ্ছে!

অতঃপর ওই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আমার জবাবটি ছিল: এ দেশে মৌলিক থ্রিলার সাহিত্যের যাত্রা শুরু হয়েছে কেবল। একটা সময় পরে অবশ্যই এমন চরিত্রের দেখা মিলবে।

এ কথায় সাংবাদিক মহাশয় সেদিন সন্তুষ্ট হতে পেরেছিলেন কি না জানি না, তবে ফোনালাপ শেষে বিষয়টি নিয়ে যখন ভাবতে বসলাম, মনে হলো, আমার জবাবটি অতি সরল হয়ে গেছে। মুদ্রার এক পিঠের কথা বলেছি হয়তো।

অন্য পিঠে তাহলে কী আছে?

একটা সময়ের পর নবীন এই থ্রিলার ধারা যখন আরও বেশি বিকশিত হবে, আবির্ভাব ঘটবে প্রচুর লেখকের, তখন কি আমরা আমাদের ‘নিজস্ব গোয়েন্দা’ চরিত্র পেয়ে যাব? আমার মাথায় অন্য একটি ভাবনাও চলে আসে এ সময়—থ্রিলারের বৈশ্বিক অবস্থাটা এখন তবে কী রকম? ওখানে কি এখনো নতুন নতুন শার্লক হোমস আর পোয়ারোদের নিত্য আনাগোনা চলছে? কিংবা কমিকসের জগতে কি নিত্যনতুন স্পাইডারম্যান-সুপারম্যান ভূমিষ্ঠ হচ্ছে?

সমকালই সবচেয়ে বেশি প্রভাববিস্তারী। আপনি অতীত নিয়েখোয়াবনামার তমিজের বাপের মতো ঘোরগ্রস্ত হতে পারেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্তানের পিতামাতার মতো স্বপ্নে-দুঃস্বপ্নে দিনাতিপাত করতে পারেন, কিন্তু সমকাল আপনার কাঁধে জোয়াল চাপিয়ে হালচাষ করিয়ে ছাড়বেই!

সত্যি কথা হলো, থ্রিলার-সাহিত্যধারায় আগে যে রকম কাজ হতো, এখন সেভাবে হয় না। কাজের পরিধি বেড়েছে, ধরন বদলেছে, বেড়েছে এর বৈচিত্র্যও। নতুন নতুন সাব-জনরা বা উপ সাহিত্যধারাও সৃষ্টি হয়েছে। আর মিশ্র-জনরা তো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল। আগের মতো মগজাস্ত্র ব্যবহার করে কোনো ‘সুপার ডিটেকটিভ’-এর দেখা তাই এখন কমই মেলে।

এক চালাকি আর কতবার খাটে? ব্যাপারটা সে রকমও হতে পারে। থ্রিলার সাহিত্য বিবর্তিত হয়ে সমসাময়িক যে রূপটি এখন দেখা যাচ্ছে, তার সঙ্গেই আমরা তাল মেলাতে চেষ্টা করছি। ধারণা করি, শুরুর দিককার থ্রিলারগুলোর যে গড়ন ও বিন্যাস ছিল, তা মেনে এ জমানার থ্রিলার লেখকেরা এখন ওই একই ধারায় গল্প-উপন্যাস খুব একটা লিখছেন না। নতুন যুগে পরিবর্তিত হয়ে গেছে সময়, প্রযুক্তি এবং থ্রিলারের গড়নও।

এ ক্ষেত্রে টেলিফোনের উদাহরণ খুব মোক্ষম হতে পারে। ১৮৭৬ সালে উদ্ভাবিত এ প্রযুক্তি যন্ত্র বিচিত্র বিবর্তনের মাধ্যমে আজকের মুঠোফোন-স্মার্টফোনে উন্নীত হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশে একই সঙ্গে এর ব্যবহার শুরু হয়নি, কেউ কেউ বিস্তর সময়ের ব্যবধানেও প্রযুক্তিটি গ্রহণ করেছে। কিন্তু অনেক পরে যারা এর ব্যবহার শুরু করেছে, তারা কিন্তু টেলিফোনের অপেক্ষাকৃত সমসাময়িক প্রযুক্তিটিও গ্রহণ করেছে। সে কারণেই কাজী আনোয়ার হোসেন যখন থ্রিলার লিখতে শুরু করেছিলেন, তখন তিনি আরেকটি শার্লক হোমস কিংবা পোয়ারো ধাঁচের গোয়েন্দা সৃষ্টি করেননি, তাঁর সৃষ্ট চরিত্রটি ছিল একজন স্পাই। সেই সময় স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। পশ্চিমে হররোজ লেখা হচ্ছে নিত্যনতুন স্পাই-থ্রিলার। সিনেমার পর্দায়ও ছিল তারই প্রতিফলন। এমনকি টিভি সিরিজগুলোও বাদ যায়নি। ফলে মগজাস্ত্রসম্পন্ন ‘সুপার ডিটেকটিভ’ তত দিনে ‘ক্ল্যাসিক’ হয়ে গেছে। কাজীদাও যথাসম্ভব সমকালকে ধরার চেষ্টা করেছেন। তাই আরেকটি ‘ফেলুদা-ব্যোমকেশ’ সৃষ্টির দিকে পা বাড়াননি।

একই কথা খাটে এক দশক বয়সী বাংলা মৌলিক থ্রিলারগুলোর বেলায়ও। এই ধারার নবীন লেখকেরা এখন নানান বিষয়-বৈচিত্র্য নিয়ে লেখালেখি করছেন, নিরীক্ষা করে যাচ্ছেন। আর তাঁরা অবগত আছেন যে ‘মগজাস্ত্রনির্ভর ডিটেকটিভ’ এখন বাস্তব দুনিয়ায় আর বিচরণ করে না। এর বদলে উন্নত প্রযুক্তি তদন্তকাজে শক্তিশালী টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ব্যাপকভাবে। তাই বলে সেই সব ডিটেকটিভ ‘মগজ’ নামক অস্ত্রটি ব্যবহার করা ছেড়ে দিয়েছেন, বিষয়টি কি এমন?

না, এমনও নয়। বরং আগের চেয়ে এই মগজাস্ত্রের ব্যবহার এখন আরও বেশি হয়। পার্থক্য হলো, অস্ত্রটি এখন এককভাবে কর্তৃত্ব করে না, অন্য অস্ত্রগুলোও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

এসব বিবেচনায় সমকালের দিকে ফিরে তাকালে আরেকটি প্রশ্নও তো জাগতে পারে মনে: ফেলুদা-ব্যোমকেশ-শবর—এ ধরণের চরিত্র সৃষ্টি করার আদৌ কোনো প্রয়োজন কি এখন আছে? তার চেয়েও বড় কথা, এখনই কি এমন প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে? সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই। তাই অতীতের মতো কিছু আশা করা বোধ হয় ঠিক হবে না। যা হবে, তা সময়ের নিরিখেই হবে। তারপরও বলব, জবাবটা আসলে সময়ের হাতে ছেড়ে দেওয়াই ভালো।

About the author

Prothoma

লিখতে ভালোবাসি, কারণ- আমি উড়তে ভালোবাসি। একমাত্র লিখতে গেলেই আসমানে পাখা মেলা যায়। আমার জন্ম কোথায়, পূর্ণ নাম কী, কোথায় কিসে পড়াশোনা করেছি, এটুকু আমার পরিচয় নয়। যেটুকু আমাকে দেখা যায় না, সেটুকুই আমার পরিচয়। বাকিটুকু আমার চিন্তায় ও সৃষ্টিকর্মে।

Add Comment

Click here to post a comment